খরুলিয়ায় মসজিদের ভিতরে মুসল্লীকে কোপাল মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

শাহীন মাহমুদ রাসেল

কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে মসজিদের ভিতরে ঢুকে নামাজরত এক মুসল্লিকে কুঁপিয়ে আহত করছেন স্থানীয় মাদক ব্যাবসী ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার খরুলিয়া এলাকার সুতারচর গ্রামের জামে মসজিদের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। আহত মুসল্লির নাম আব্দুল মালেক (৩২)। সে একই গ্রামের ছুরুত আলমের ছেলে। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত মালেককে জুমার নামাজরত অবস্থায় মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রতিবেশী একই গ্রামের মাদক সম্রাট ইউসুফ আলীর ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী, ইয়াবা ডন ও দেড় ডজন মামলার পালাতক আসামী রাজা মিয়া, তার সহোদর তিন ভাই ওসমান গনি, নবাব মিয়া, আকাশসহ ৫/৬ জনের দুর্বৃক্ত মুসল্লির ওপর হামলা চালায়। রামদা দিয়ে তার মাথায় ও শরীরে কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ভয়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা ইচ্ছেমত কোপানোর পরে চলে যায়।

স্থানীয়রা জানান, এরা এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন মাদক মামলার আসামি। স্থানীয় প্রভাব কাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধ করলেও এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এলাকাবাসীর।

জানা যায়, আহত মালেকের ছোট ভাই মান্নানের মোবাইল ও ২৫ হাজার টাকা দিনে দুপুরে ছিনিয়ে নেয়। পরে মালেক তার ভাই মান্নান টাকা ও মোবাইল ফিরে পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সুরাহা না পেয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে ধাওয়া করে। এই ঘটনার জের ধরে রাজা মিয়া ও তার ভাইয়েরা সব সময় হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানা যায়।

আহত মালেকের বড় ভাই আব্দুস সালাম জানান, এ ধরনের হামলা হওয়া পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হচ্ছে আমাদের। আমি এর সঠিক বিচার চাই। বর্তমানে আমার পরিবারের সদস্যরা জীবন বাঁচাতে আমার সাথে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। বাড়িতে ছোট ভাই তার পরিবার ও বৃদ্ধ মা থাকেন। আমার ভাইকে মসজিদে ঢুকে হত্যা করতে চেয়েছিল।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, সদস্য শরীফ উদ্দিন ও আব্দু রশিদ।

সদর থানার ওসি ( তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখে আসছি। এ ব্যাপারে মামলা হবে। দ্রুত সময়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।